বিয়ের একুশ দিনের মাথায় স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা
বিয়ের একুশ দিনের মাথায় আত্মহত্যা করেছে এক দম্পতি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ার আড়াল এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
তবে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ মৃত্যুর কোনো কারণ খুঁজে পায়নি বলে জানায় কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।
শুক্রবার থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, কাপাসিয়ার আড়াল গ্রামের হানিফ মিয়ার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শাহীনা আক্তার নিপার (১৬) সাথে ইকুরিয়া গ্রামের আফজাল হোসেন ভুঁইয়ার স্কুল পড়ুয়া ছেলে হৃদয় হোসেনের (১৭) প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে হয়। উভয়েই এ বছর এসএসসি পরীক্ষাথী দেয়ার কথা ছিলো। এরই মধ্যে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তারা গত একুশ দিন আগে গাজীপুর আদালতে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। জানাজানি হওয়ার পর দুই পরিবারের অভিভাবকরা তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখে।
নিপার পিতা হানিফ মিয়া বলেন, গত ৫ দিন আগে হৃদয় কাউকে না জানিয়ে আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ কারণে হৃদয়ের মা রিমা আক্তার আমার মেয়ে নিপা ও আমাদের পরিবারের লোকজনকে খারাপ ভাষায় গালাগাল করে। এ সময় গালাগাল সহ্য করতে না পেরে নিপা আমাদের বাড়িতে চলে আসে।
নিপার মা রিনা বেগম জানান, ছেলে হৃদয় হোসেন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বাড়িতে আসে। খাবার খেয়ে উভয়ে ঘরে অবস্থান করছিল। বিকেল ৫টার দিকে তারা বিষপান করে একে অপরের গলা ধরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় গুরুতর অবস্থায় তাদের মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথে শাহীনা আক্তার নিপা মারা যায় এবং হৃদয়কে দ্রুত ঢাকার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়।
হৃয়ের বাবা আফজাল হোসেন বলেন, ছেলে-মেয়ে উভয়েই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আইনগত বাধা থাকার কারণে তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমাদের অজান্তে ছেলে তাদের বাড়িতে গিয়ে কি কারণে বিষপান করেছে, তা আমাদের জানা নেই।
এদিকে হৃদয় ও নিপার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।